ঘুঘু পাখির রোগ ও চিকিৎসা পর্ব - ১০
পোস্ট Nov 18, 2020 | দেখা হয়েছে: 1915
ঘুঘুর বাচ্চার বায়ুপূর্ণ খাদ্যথলি।(পেট ফাপা বা গ্যাস):
ঘুঘুর পেট ফুলা বা খাদ্য থলিতে গ্যাস হলে করণীয়
চিকিৎসা ও প্রতিরোধঃ
১) এই রোগে প্রাথমিক চিকিৎসা একটি সূচ এর অগ্রভাগ দিয়ে কর্প এর দুইটি জায়গা অল্প ফুটা করে দিয়ে হালকা চাপ প্রয়োগ করে বাতাস বের করার ব্যাবস্থা করে দিতে হবে।
এটি কিছুক্ষনের মধ্যে আবার বাতাস পূর্ণ হয়ে যায় তাই কয়েকবার এই কাজটি করতে হতে পারে।
২) বাতাস বের করার পর কুসুম গরম রাইস স্যালাইন খাওয়াতে পারেন বা অ্যাপেল সিডার ভিনেগার ২-৩ ফোঁটা ১-২ সিসি পানিতে দিয়ে অল্প পরিমান খাওয়াতে পারেন। বেশী ছোট বাচ্চা হলে ফোঁটা ফোঁটা করে আর বড় হলে ৩-৪ সিসি পর্যন্ত দিতে পারেন।
৩) কর্প এর ফুটা করা অংশ টেপ বা লিউকোপ্লাস দিয়ে এটে দিতে পারেন বা অ্যান্টিসেপটিক লাগাতে পারেন। ঘুঘুকে উষ্ণ জায়গাতে রাখবেন ও উষ্ণ রাখার চেষ্টা করবেন। কারন এই অবস্থা তাদের শরীর আসতে আসতে ঠাণ্ডা হয়ে আসতে থাকে।
৪) পেটে যদি খাবার জমে থাকে আর এই অবস্থা হয় তাহলে আগে ১০ মিলি/সিসি কুসুম গরম পানিতে ১ মিলি/সিসি অ্যাপল সিডার মিক্স করে খাওয়াবেন এর পর একটু মর্দন করে ঘুঘুকে উল্টা করে কর্প এ হালকা চাপ দিয়ে পানিসহ খাবার গুলো বের করে দিবেন। তা না হলে খাবার পচে আরও বিপত্তি ঘটতে পারে।
প্রতিরোধের ক্ষেত্রে ভাল মানের পরিষ্কার খাবার দিবেন হালকা গরম করে। ভাল মানের গ্রিট দিবেন। ১৫ দিন পড় পড় অ্যাপেল সিডার দিবেন ১ মিলি/সিসি করে ১ লিটার পানিতে মিক্স করে নরমাল খাবার পানি হিসাবে। খামার পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখবেন। জীবাণুনাশক স্প্রে করবেন নিয়মিত। বি কমপ্লেক্স দিবেন নিয়মিত।
সতর্কতাঃ
১) খেয়াল রাখতে হবে অনেকেই বেশী চাপ প্রয়োগ করে মুখ দিয়ে বাতাস বের করার চেষ্টা করেন। এটি খুবই মারাত্মক কারন এতে বায়ু কোষ বিস্ফোরিত হবার সম্ভাবনা অনেক বেশী থাকে।
২) অনর্থক শক্ত খাবার দিবার চেষ্টা করবেন না। কয়েক দিন কুসুম গরম তরল খাবার দিবেন বা রাইস স্যালাইন দিবেন।
৩) সূচ দিয়ে ফুটা করার সময় বেশী জোরে বা গভিরে সূচ ফুটাবেন না এতে রক্ত বের হয়ে বিপত্তি ঘটে পারে।
৪) বয়স্ক ঘুঘু গরম/হিটে আসলে এমনিতেই কর্প এর মধ্যে বাতাস পূর্ণ রাখে সেটাকে রোগ হিসাবে ধরা ঠিক হবে না।
শরীরের অন্য কোথাও বাতাস আটকে থাকলে একি পদ্ধতি অনুসরণ করবেনl
0 comments on ঘুঘু পাখির রোগ ও চিকিৎসা পর্ব - ১০
Please sign in so you can post a comment.