ঘুঘু পাখির রোগ ও চিকিৎসা পর্ব - ৯

পোস্ট Nov 18, 2020 | দেখা হয়েছে: 1781
ঘুঘুর পালক ঝরা রোগ বা মোল্টিং:
ঘুঘু পাখির মোল্টিং বা পালক পরিবর্তন
ঘুঘু পাখি প্রতি ছয় তাদের পুরোনো পালক এবং পশম পালটায়, এটাকে মোল্টিং বলা হয়, অনেক নতুন ঘুঘু পাখি পালকারি হঠাৎ করে অস্বাভাবিক ভাবে ঘুঘু পাখির পালক পড়া দেখে হতবাক হয়ে যান, ভয় পান, অসুস্থ্য হয়ে পড়লো কিনা সেটা ভেবে অস্থির হয়ে পড়েন, এটা নিয়ে ভয়ের কিছু নেই, এটা ওদের জীবনের একটি নিয়মঘটিত ব্যাপার যদিও এটাকে অনেকে পালক বা পশম ঝরা রোগ বলে আসলে এটা কোনো রোগ নয় l
সাধারনত শীতের আসার আগেই বেশীর ভাগ ঘুঘু মোল্টিং এর কাজটা সেরে নেয়, আবার অনেক ঘুঘু পাখির শীতের পরেও মোল্টিং হয় , ঘরের সব ঘুঘু ই যে একই সাথে মোল্টিং করবে এমন কথা নেই, ঘুঘু পাখি তার নিজের সময় অনুযায়ী এটা করে থাকে, পুরোনো পালক ঝেড়ে ফেলে নতুন পালকে সাজতে ঘুঘু পাখির সাধারনত ১ থেকে ২ মাস সময় নেয়,মোল্টিং একটি গুরুত্বপূর্ন সময়, ওড়া কিংবা শো, দুটোর জন্যই পালক এবং পালকের গঠন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন, তাই মোল্টিং সময়ে প্রিয় ঘুঘু পাখির জন্য চাই আলাদা যত্ন l
মোল্টিং এর সময় আমাদের যা করতে হবে:
(১) খাবারে প্রোটিনের পরিমান বাড়িয়ে দিতেহবে, পালক তৈরির উপাদানগুলোর ভেতর ৯০% প্রোটিন, তাই ১৮%+ প্রোটিন অবশ্যই দিতে হবে l
(২) খাবার মিক্সে উপাদানের সংখ্যা বাড়িয়ে দেয়া, সুন্দর এবং কার্যকরী পালক গঠনে ভিটামিন এবং মিনারেলস এর গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা আছে, অপরদিকে প্রতিটি খাবার উপাদানের ভেতর একেক ধরনের ভিটামিন বা খাদ্যোপাদান এর উপস্থিতি দেখা যায়, এক উপাদানে যা পাওয়া যায় অন্য উপাদানে তা পাওয়া যায় না, তাই মিক্স উপাদান এর সংখ্যা সর্বোচ্চ পর্যায়ে রাখার চেষ্টা করা,১ ও ২ নং এর জন্য যেটা করতে হবে, যত ধরনের ডাল এবং তেলবীজ পাওয়া যায় সবগুলো ৫০ বা ১০০ গ্রাম করে নিয়ে একটা মিক্স তৈরি করতে হবে, তেলবীজের ভেতর তিসী ছাড়া অন্য সবগুলো তেলবীজ মিলিয়ে যেই পরিমান হবে তীসী সেই পরিমান দিতে হবে, ঘুঘু পাখির প্রতিদনের খাবার মিক্সে এই স্পেশাল মিক্স ৫ থেকে ১০% হিসেবে যোগ করতে হবে l
(৩) ব্রীডিং থেকে বিরত রাখা, মোল্টিং প্রিয়ডে যেহেতু ঘুঘু পাখির নিজস্ব দেহএকটা পরিবর্তনের ভেতর অতিবাহীত হয়, তাই এসময় তার নিজের দেহের পুষ্টি চাহিদা থাকে অনেক বেশী, এসময় বেবীকে খাইয়ে বড় করার দায়িত্ব তার জন্য অনেক কষ্টকর হতে পারে, একই সাথে মোল্টিং এবং বেবীর চাহিদা পুরন করতে গিয়ে তার নতুন পালক মান সম্মত হতে পারবে না অন্যদিকে বেবীও ভালো মানের হবে না, তাই এসময় ব্রীডিং বন্ধ করে নর মাদী আলাদা করে রাখাই ভাল l
(৪) ঔষধের ব্যবহার নুন্যতম পর্যায়ে রাখা, ঘুঘু পাখির মোল্টিং সময়ে এন্টিবাইওটিকের ব্যবহার নুন্যতম রাখার চেষ্টা করা, এন্টিবাইওটিকের প্রভাবে পালকের মান খারাপ হতেপারে l
(৫) গ্রিট এক দিন পর একদিন, মিনারেলস এর মূল যোগান আসে গ্রিট থেকে, তাই এসময় ভালো মানের গ্রিট একদিন পর পর দেবার চেষ্টা করা, এবং সম্ভব হলে একাধিক ধরনের গ্রিট দিতে চেষ্টা করা l
0 comments

0 comments on ঘুঘু পাখির রোগ ও চিকিৎসা পর্ব - ৯

Please sign in so you can post a comment.

EBIZNAS.COM

User since: Aug 31, 2017
See all ads »

+8********Show phone
+8********Show WhatsApp

অনুরূপ বিজ্ঞাপন

Go to top
This site uses cookies. By continuing to browse the site, you are agreeing to our use of cookies. Read more about our cookie terms.
রিমোভ