ঘুঘু পাখির রোগ ও চিকিৎসা পর্ব - ১৫
পোস্ট Nov 18, 2020 | দেখা হয়েছে: 2533
ঘুঘু পাখির বমি-বদহজম ও খাবারে অরুচি:
ঘুঘু পাখির সাধারণ কিছু রোগের মধ্যে এই তিনটি রোগ সব চাইতে বেশি কমন l পাখির খাবারে পরিবর্তন আসলে নতুন পরিবেশে আসলে খাবার অপরিছন্ন থাকলে কিংবা পানি বাহিত কারণেও পাখির বমি বদহজম ও খাবারের প্রতি অনীহা দেখা যায় l
নিচে প্রতিটা রোগের আলাদা ভাবে চিকিৎসা পদ্ধতি বর্ণনা করা হলো :-
◆ বমি
লিভারের সম্যসার কারনে বমি হয় ৷ সাল্মনেলিসিস, ডিপথেরিয়া, ঠান্ডা, কৃমি, ইত্যাদি রোগের কারনেও বমি হতে পারে ৷ নোংরা বা ফাঙ্গাস আছে এমন খাবার খেলেও ঘুঘু বমি করতে পারে ৷ রোগাক্রান্ত ঘুঘুকে শক্ত খাবার দিলেও বমি করতে পারে ৷ আবার অ্যান্টিবায়োটিক দেবার পরও ঘুঘু বমি করতে পারে ৷ বমি হলেই কোন ঔষুধ না দিয়ে আগে দেখতে হবে কোন সম্যসা আছে কী না ৷ যদি কোন রোগের কারনে বমি হয়, তবে সেই রোগের চিকিৎসা করতে হবে ৷ অ্যান্টিবায়োটিক দেবার পর বমি হলে কোন বমি বন্ধ করার জন্য কোন ঔষুধ দেয়া যাবে না ৷
◆ বদহজম বা হজমে সম্যসা
বমি করা, পেটে কিছু না থাকা, খাবার খেতে না চাওয়া, খাবার শক্ত হয়ে থাকা বা পাকস্থলি পানিতে পূর্ণ থাকা, ঘন ঘন বমি বা বমির চেষ্টা করা, হজম না হওয়া খাবার পায়খানার সাথে বের হওয়া, ভূষি গোলার মত পায়খানা, হজম না হওয়া ভাঙ্গা খাবার পায়খানার সাথে বের হওয়া, শ্বাস প্রশ্বাস কম হওয়া ৷ এসব বদহজমের লক্ষণ ৷
বমির জন্য কখনই মানুষের ঔষুধ দেয়া যাবে না, লিভার টনিকও না ৷ প্রথমে হোমিও prevnone ১ ফোঁটা করে ১০ মিনিট পর পর ৬/৭ বার দিতে হবে ৷ পেটে গ্যাস থাকলে (পায়খানায় বুদবুদ থাকলে) হোমিও NOTOX ৩ ফোটা করে দিনে ৩ বার, ৫ দিন ৷ শক্ত খাবার না দিয়ে তরল খাবার দিতে হবে ৷ চালের স্যালাইন বেশ ভাল ৷ সুস্থ হবার পর লিভার টনিক দিতে হবে ৷ খাবার ধুয়ে শুকিয়ে খাওয়াতে হবে ৷
◆ অরুচি
ব্যাকটেরিয়া, ফাঙ্গাল অথবা ভাইরাল সংক্রমণের ফলে এই সমস্যা দেখা দিতে পারে। কৃমি, স্ট্রেস, পানি শূন্যতা, লবনের ঘাটতি থেকে এ সম্যসা হতে পারে ৷
অতি শীত, অতি গরম, অতি বৃষ্টিতে এটা সাধারণ সম্যসা ৷ অনেক সময় ঘুম বা বিশ্রামের সমস্যা হলে পরেরদিন ঘুঘু কম খেতে পারে বা লোম ফুলিয়ে ঝিমাতে পারে। রোগ থেকে সুস্থ হবার পরও ঘুঘু কম খেতে পারে ৷
.
ঔষুধ হিসেবে হোমিও genoti ৩ ফোটা করে দিনে ২ বার, ৩ দিন । বেশি ঘুঘুকে এক সাথে দিতে ১ লিটার পানিতে দেড় মিলি ৷ আমলকীর রসও বেশ কার্যকর ৷
নিয়মিত কৃমিনাশক, ভিটামিন মিনারেল, গ্রিট দিতে হবে ৷ সব ঋতুতেই গোসলের ব্যবস্থা করতে হবে ৷ বাসস্থান পরিস্কার রাখতে হবে ৷ আলো বাতাসের ব্যবস্থা রাখতে হবে ৷
সতর্কতা :- এই সাধারণ রোগ গুলোতে ভেটেনারি ওষুধ প্রথমেই ব্যবহার না করে হোমিও ব্যবহার করা ভালো l তবে কেউ চাইলে ভেটেনারি চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ভেটেনারি ওষুধ ও দিতে পারেন l
0 comments on ঘুঘু পাখির রোগ ও চিকিৎসা পর্ব - ১৫
Please sign in so you can post a comment.