ঘুঘু পাখির রোগ ও চিকিৎসা পর্ব - ১১
পোস্ট Nov 18, 2020 | দেখা হয়েছে: 5543
ঘুঘু পাখির সবুজ পায়খানা:
ঘুঘু পাখির পায়খানা নিয়ে সব চাইতে বেশি প্রশ্ন আসে ,আমার ঘুঘুর পায়খানা সবুজ l আসলে পায়খানা সবুজ মানে পাখির শরীরে কোনো রোগ আছে তার লক্ষণ প্রকাশ করে l
ঘুঘু পাখির সবুজ পায়খানার চিকিৎসা সময় মতো না করলে পাখির টাল রোগ হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে l এছাড়া পাখির ঝিমানি বমি এবং কি মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে l
সবুজ পায়খানা হওয়ার কারণ :-
1. পাখি ভয় পেলে পাখির পায়খানায় সবুজ ভাব আসতে পারে l
2. পাখির খাবার পানিতে পপ্স পড়লে সেই পানি পান করলে l
3. পাখির খাবারে পপ্স পরে সেই খাবার পাখি খেলে l
4. পাখির শরীরে জ্বর কিংবা বমির ভাব থাকলে l
5. পাকস্থলীতে ভাইরাস জনিত সংক্রমণ হলে l
প্রতিরোধের উপায় :-
1. পাখি ভয় পায় এমন কাজ থেকে বিরত থাকা l
2. পাখির খাবার পানি ফুটিয়ে ফিল্টারে দিতে হবে l
3. পাখির খাবারে পপ্স পড়লে দ্রুত পরিষ্কার করতে হবে l
4. পাখির ঝিমানি জ্বর কিংবা বমির ভাব থাকলে দ্রুত চিকিৎসা করতে হবে l
5. পাখির সার্বক্ষণিক খেয়াল রাখতে হবে l
চিকিৎসা :-
EROKOT: ১ গ্রাম।
ফ্লাজিল: 2.5 ml.
১ লিটার এর চার ভাগের এক ভাগ পানির সাথে গুলিয়ে দৈনিক সকাল ও রাতে খাওয়াব ২০ml করে। দু তিন বার দৈনিক রাইস স্যালাইন খাওয়াবেন। এছাড়া বাকি ভালো ঘুঘু গুলোকে উপরুক্ত ঔষধ ১ লিটার পানির সাথে গুলিয়ে একটানা ৩ দিন খাওয়াবেন রাতের বেলায় ১০ ml করে প্রিভেন্টিক ডোজ হিসেবে। এই ক্ষেত্রে রাইস স্যালাইন এর দরকার নাই।
এছাড়া আলাদা মেডিসিন পাওয়া যেতে পারে। যেমন :-
এজন্য অনেক গুলা ভেটেনারি ঔষধ রয়েছে ।
কসুমিক্স প্লাস
ডক্সিভেট
ইরোকট
এসসিজেড
আজিন ভেট
ঘরোয়া চিকিৎসা :-
ঘরোয়া উপায়ে কোনো ধরনের সাইড এফেক্ট ছাড়াই ঘুঘু পাখির চিকিৎসা করা যায়। আমি নিজে এই পদ্ধতি ব্যবহার করে সুফল পাইছি। ১০০% কাজ করে।
এজন্য যা যা লাগবেঃ
# এলাচি । (শুধুমাএ খোসা ,কালো বিচি নয়)
# কাসনী । ( এটা এক ধরনের শষ্য, গ্রাম অন্চলে খুবই পরিচিত,শহরে বিভিন্ন বাজারে তথা অনেক মসলার দোকানে পাবেন )
# আর লাগবে পানির। (দই থেকে ছেকে পানি ফেলে নেওয়া #পানির )
যেভাবে বানাবেনঃ
প্রথমে এলাচির খোসা ও কাসনী বেলেন্ডারে গুড়া করে নেন ।একদম মিহি গুড়া করতে হইবে । তারপর গুড়ার সাথে পানির মিক্স করুন ।তারপর সেটাকে ক্যাপসুলের থেকে ছোট বলতে গেছে খেজুরের বিচির আকার দিন ।
যেভাবে খাওয়াবেনঃ
৭ টি বরি বানাবেন । রোজ ভোরে খালি পেটে ১টা কইরা ৭ টানা ৭ দিন খাওয়াবেন । বরি খাওয়ানোর পর খুবই সামন্য (৩সিসি ) দুধ খাইয়ে দিবেন । আবারও বলছি দুধ দিবেন খুবই সামন্য ।
#এভাবে ৭দিন খাওয়ালে ইনশাআল্লাহ আপনার ঘুঘু একদম সুস্থ হয়ে উঠবে ।
আর যদি কেউ মনে করেন ঝামেলার কাজ তাহলে ঔষধ ব্যবহার করতে পারে ।
সতর্কতা :- সব চাইতে ভালো হয় আপনার নিকটস্থ কোনো ভেটেনারি চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে চিকিৎসা দেয়া l
0 comments on ঘুঘু পাখির রোগ ও চিকিৎসা পর্ব - ১১
Please sign in so you can post a comment.