ঘুঘু পাখির রোগ ও চিকিৎসা পর্ব - ১৭

এটি খুবই ব্যাপক রোগ, সাধারণত এটি যা গ্রাম-ঋণাত্মক (Gram Negative) ব্যাকটেরিয়ার দ্বারা ঘটিত হয়। এই রোগ বাচ্চা ঘুঘুর জন্য মরণশীল এবং বড়দের জন্য ও এটি খুব দ্রুত চারপাশে ছড়িয়ে পড়ে. এই রোগকে বলা হয় সব রোগের জন্মদাতা, তাই এই রোগ হলে তাড়াতাড়ি নির্মূলের ব্যাবস্থা করা উচিৎ।

তীব্র আকারের আক্রান্তর ক্ষেত্রে

১) ঝীমায়

২) শাষকষ্ট হয় ।

৩) সাদা আঠাল / চুনা পায়খানা করে ।

৪) গারো সবুজ পায়খানা করে ।

৫) অনেক সময় পায়খানা পিছনের পালকে লেগে থাকে ।

৬) পা খোরায় ,পাখা ঝুলে পরে ।

৭) বমি করে ।

8) খাবারে অরুচি , পানি বেশী খায় ।

HAMECO-PH (HOLLAND ER )

যেকোনো পশুপাখির ঔষধের দোকানে ।

প্রতি লিটার পানিতে এ ১- ২ মিলি করে ৫ দিন প্রতি মাসে ।

চিকিৎসা:- ২.৫ মিলি প্রতি লিটার এ ।

পানি কতক্ষণ দিয়ে রাখা যাবে ।

খাবার পানি দিয়ে ৮-১২ ঘণ্টা রাখুন ।

১) এইটা দামে কম ।

২) পশু পাখির জন্য তৈরি ।

৩) ভালো কাজ করে ।

৪) অভিজ্ঞ পশু পাখির ডাক্তার রা পরামর্শ দেন খাওয়াতে ।

৫) ভালো কোম্পানির তৈরি তাই গুণগত মাণ ভালো ।

৬) আমি ২ বছর ধরে প্রায় 50+ ঘুঘুকে প্রতি মাসে খাওয়াই , ফলাফল ভালো ।

৭) এই রোগের জন্য নির্দিষ্ট একটি ওষূধ ।

৮) মানুষের বিভিন্ন ওষুধের ক্ষেত্রে যেগুলা ব্যাবহার করা হয় তা এই রোগের জন্য এমন কিছু নির্দিষ্ট লেখা নাই । তাই নিশ্চয়তা কম ।

আপনারা প্রয়োজনে ডাক্তার দের সাথে পরামর্শ করে নিতে পারেন

৯) যেকোনো ঘুঘুকে বা যেকোনো বয়সের ঘুঘুকে কে দেওয়া যাবে ।

অনেক সময় পানি ঝাঝাল বা তিতা লাগায় এই ঔষধ মিশান পানি খেতে অনিহা প্রকাশ করে , অনেকেই এইটাকে পুজি করে এইটা না খাওয়াতে উৎসাহ দেয় যা সঠিক নয় ।

এই ক্ষেত্রে আপনি পানি দীর্ঘক্ষণ না দিয়ে পানি দিতে পারেন বা ঘুঘুকে কম হলে অই ঔষধ মিশানো পানি সিরিঞ্জ দিয়া ১০ মিলি করে খাইয়ে দিতে পারেন ।

একটু কষ্ট হলেও ঘুঘুর উপকারের জন্য আমাদের এইটুকু করা দরকার প্রতি মাসে ৫ দিন ।

আমরা আমাদের ছোট ভাই বোন বা সন্তান তিতা ঔষধ না খেলে কি করি ????

ঘুঘু ও আমাদের সন্তান এর মত এর ভালোর জন্য আমরা নিশ্চয়ই একটু কষ্ট করব ইন-শা-আল্লাহ্‌ ।

আল্লাহ্‌ ই একমাত্র শেফা দানকারী ।